রাজধানীর কাঁঠালবাগান ঘুরে: কাঁচাবাজারে লেগেছে আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৬ মার্চ ২০২২ ১৬:৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৬ মার্চ ২০২২ ১৬:৩২

ছবি সমসাময়িক

মোঃ শাহ্ জালাল, ঢাকা।। রোজা আসতে এখনো এক মাস বাকি। এরইমধ্যে বাজারে লেগেছে আগুন। রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে কাঁচামরিচসহ সব ধরনের শাকসবজির দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৬০-৬৫ টাকার কাঁচামরিচের দাম বেড়ে হয়েছে ১০০-১২০ টাকা। অর্থাৎ, গত সপ্তাহের তুলনায় দাম বেড়েছে ৪০-৬০ টাকা পর্যন্ত। পিছিয়ে নেই অন্যান্য সবজির দামও।

বরিবার (৬ মার্চ) রাজধানীর কাঁঠালবাগান কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্রই চোখে পড়েছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি গোল আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৭০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৭৫ টাকা, দেশী আদা ১০০ টাকা, চায়না আদা ১০৫ টাকা, চায়না রসুন ১২০ টাকা, দেশী রসুন ৯০ টাকা, শুকনা মরিচ ৪০০ টাকা দরে। সবজির দোকানগুলোতে যথেষ্ট সরবরাহ রয়েছে টমেটো, গোল বেগুন, লম্বা বেগুন, করলা, পটল, লাউ, কাঁচা পেঁপে, শসা, গাজর, ফুলকপি, বরবটি, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, ঝিঙ্গা, কচুর লতি, ঢেঁড়স অন্যান্য সবজির। তবে দামের ক্ষেত্রে কোনো সবজিই গত সপ্তাহের বাজারদরে নেই। দাম কমেছে শুধু গোলবেগুনের। গত সপ্তাহে কেজিপ্রতি ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও আজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। এছাড়া অন্যান্য সবজি ৮০-১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ঢেঁড়স-করলার দাম ঠেকেছে ১২০ টাকা, বরবটি ১৬০ টাকা। অথচ গত সপ্তাহের বাজারেও এসব সবজি পাওয়া যেত ৮০-১০০ টাকায়। শাকের বাজারেও আগুন। লাউশাক, পালং শাক, লাল শাক, কলমি শাক, কচু শাকসহ সবধরনের শাকের বাজারই চড়া। আটিপ্রতি লাউ শাক ৫০-৬০ টাকা এবং অন্যান্য শাকের আঁটি ২৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচাবাজারে সবজি বিক্রেতা ফজলু বলেন, আড়ত থেকেই অতিরিক্ত দামে কিনতে হচ্ছে শাকসবজি। তাই খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। তবে কী কারণে আড়তে দাম বেড়েছে তা জানা নেই। পেঁয়াজ বিক্রেতা সিরাজ বলেন, সামনে আরো দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা পর্যাপ্ত পেঁয়াজ আড়তে পাচ্ছি না। রসুন আদাসহ অন্যান্য পণ্যের দামও কিছুটা বেড়েছে। এছাড়াও মসলা ও মুদি পণ্যের বাজার ঘুরে দেখা যায়, জিরা ৩১০ টাকা, বড় এলাচ ২৬২০ টাকা, ছোট এলাচ ২২৮০ টাকা, দারুচিনি ৪০০ টাকা, লবঙ্গ ১০১০ টাকা, কালো মরিচ ৭১০ টাকা, সাদা মরিচ ৮৬০ টাকা, কালোজিরা ১২০ টাকা, সরিষা ১১০ টাকা, আলুবোখারা ৪২০ টাকা, কিসমিস ৩৩০ টাকা, মেথি ১২০ টাকা, মুগ ডাল ১২৫ টাকা, বুটের ডাল ৮০ টাকা, মসুর ডাল ১২০ টাকা, ছোলা ৮০ টাকা, চিনিগুড়া চাল ১০০-১২০ টাকা, মিনিকেট চাল ৫৫-৬৫ টাকা, নাজিরশাইল চাল ৭০)২ টাকা, মোটা চাল ৫৫ টাকা, চিনি ৮০ টাকা এবং মোটা ডাল ৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। স্থিতিশীল রয়েছে ডিম ও মাংসের বাজার। ডিম হালিপ্রতি ৪০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৮০-১৯০ টাকা, লেয়ার মুরগির কেজি ৩২০-৩৪০ টাকা এবং সোনালি মুরগি ৩২০-৩৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দামও। গরুর মাংস হাড়সহ ৬৫০ টাকা, হাড় ছাড়া ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ৮৫০-৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: