মনিরামপুরে এসিল্যান্ড অফিসের পিয়নের ক্ষমতার দাপটে ইউপি চেয়ারম্যান লাঞ্চিত

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২০ ১৭:৪০

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২০ ১৭:৪০

ছবি সমসাময়িক
দৈনিক সমসাময়িক ডেস্ক।। মনিরামপুরে ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক(পিয়ন) কর্তৃক মশ্বিমনগর ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হোসেনকে লাঞ্চিতের ঘটনায় তদন্ত টিম পিয়ন লুৎফর রহমানকে দোষি সাব্যস্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন পাঁচমাস আগে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওই পিয়নের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন প্রায় চারমাস আগে। অথচ এখনও ওই পিয়নের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে জনপ্রতিনিধি সহ এলাকাবাসীর মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। জানাযায়, উপজেলার মশ্বিমনগর ইউনিয়ন করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হোসেন ১ মে সকাল নয়টার দিকে কয়েকজন গ্রাম পুলিশ নিয়ে পারখাজুরা বাজারে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখতে অভিযানে নামেন। এ সময় বিভিন্ন দোকানপাট বন্ধ করা হলেও মনিরামপুর ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক(পিয়ন) লুৎফর রহমানের জ্বালানী তেলের দোকান খোলা ছিল। এ নিয়ে চেয়ারম্যানের সাথে তার বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে লুৎফর রহমান ও তার লোকজন চেয়ারম্যানকে লাঞ্চিত করেন। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন ওই পিয়নের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান উল্লাহ শরিফীর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। সে মোতাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিযোগ তদন্ত করতে উপজেলা কৃষি অফিসার হীরক কুমার সরকারকে দায়িত্ব দেন। পরে হীরক কুমার সরকার সরেজমিন তদন্ত করে পিয়নের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সমুহের সত্যতা পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেন ৩০ মে। তদন্তকারী অফিসার হীরক কুমার সরকার পিয়ন লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেনকে সরকারি কাজে বাঁধা প্রদানের সত্যতা উল্লেখ করেন তার দাখিলকৃত প্রতিবেদনে। এ ছাড়াও উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় বিষয়টি উত্থাপিত হয়। মাসিক সভার প্রধান অতিথি পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এ ব্যাপারে দিন্দা জ্ঞাপন করে দ্রুত ওই পিয়নের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। সে মোতাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান উল্লাহ শরিফী পিয়ন লুৎফর রহমানকে অন্যত্র বদলিসহ শাস্তির সুপারিশ করে ২৮ জুন জেলা প্রশাসক বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করেন। কিন্তু চার মাস অতিবাহিত হলেও পিয়নের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এক প্রশ্নের জবাবে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, সরকারি আদেশ পালন করতে গিয়ে একজন পিয়নের হাতে জনপ্রতিনিধিকে লাঞ্চিত হতে হয়। আর সেই লাঞ্চিতের বিচার পেতে যতি এত বিলম্ব হয়, তাহলে জনপ্রতিনিধিরা এলাকায় কি ভাবে সরকারি নির্দেশনা পালন করবেন? তবে সহকারি কমিশনার(ভূমি) খোরশেদ আলম চৌধুরী জানান, বিষয়টি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: