মণিরামপুরে তিন নিয়োগে ৪৫ লক্ষ টাকা বানিজ্য

শাহাজান সাকিল।। | প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২৩ ১৭:০১

শাহাজান সাকিল।।
প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২৩ ১৭:০১

ফাইল ফটো

বি, এইচ, এম, এস বালিকা বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ। ৩টি পদে নিয়োগ দিয়ে ৪৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বি, এইচ, এম, এস বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমিতাব বিশ্বাস, ও সভাপতি হেমন্ত কুমার মন্ডলের বিরুদ্ধে।

নিয়োগ বানিজ্য করার পর স্কুলের নাম নতুন রঙ দিয়ে মুছে ফেলা হয়েছে। গ্রামবাসী ও স্কুলের ছাত্রীদের অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যালয়ের সামনে ১৭ ই জুন মানববন্ধন করেছেন। ডিসি ও জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ দিলেও শিক্ষা অফিসার ও ডিসি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি বলে জানান গ্রামবাসী। এ বিষয়ে স্হানীয় ইউপি সদস্য বিদ্যুৎ বৈরাগী গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানায়, গত ২৪শে জানুয়ারি সুজাতপুর নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক নিরাপত্তা ও নৈশ প্রহরী নিয়োগে নাটকীয় নিয়োগ বোর্ড গঠন করা হয়।

মোট তিন জন কে ৪৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়া হয় যার প্রমাণ সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের সাথে আমার যে কথোপকথন হয়।কথোপকথন এর রেকর্ডে তা প্রমাণিত। এই বিদ্যালয়ের জমি দাতা সদস্য মনোরঞ্জন মন্ডলের পুত্র আবেদন করেছিলেন।কিন্তু তাদের সাজানো নিয়োগ বোর্ডে আগে থেকেই তিনজন কে অর্থের মাধ্যমে সেটিং করা হয়েছিলো। আমরা যশোর শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ দিয়েছি, ডিসি বরাবর অভিযোগ দিয়েছি কিন্তু তাতেও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি।মণিরামপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিদ্যুৎ কুমার দাশ কে বারবার অবগত করেছি কিন্তু তিনি এবিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেননি।যদি এভাবে স্কুলে নিয়োগ দেওয়া হয় তা হলে কেনো বোর্ড বসানোর নামে নাটক করা হলো?হয়তো বিদ্যুৎ কুমার দাশ এর সাথে সংযুক্ত আছেন। আমরা প্রয়োজনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করবো।

উক্ত বিদ্যালয়ে নিয়োগে আবেদন কারি বিজয় মন্ডল বলেন, আমি আবেদন করার পর সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করি।প্রধান শিক্ষক সমিতাব বিশ্বাস ও সভাপতি হেমন্ত কুমার মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করলে তাহারা আমার নিকট থেকে ১৫ লক্ষ টাকা দাবী করে।আমি ১০ লক্ষ টাকা দিতে রাজি হলে তাহারা আমাকে রিজেক্ট করে।

এবং স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন ১৫ লক্ষ যে দিবে তার চাকুরী হবে না হলে হবে না।১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার মতো অনেক জন তৈল দিয়ে তেলাচ্ছে। বানিজ্যের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত রা হলেন,প্রণাব বিশ্বাস,চিরঞ্জিৎ বিশ্বাস, ধিমান মন্ডল। দাতা সদস্য মনোরঞ্জন মন্ডল জানায়, আমি দাতা সদস্য আমার ছেলে এই বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণির চাকুরীর জন্য আবেদন করেন।আমি দীর্ঘ দিন যাবত সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়ে ভুগছি।

আমার ছেলে এখানে আবেদন করেছিলো আমার নিকট প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি ১৫ লক্ষ টাকা দাবি করে যা আমার দেওয়া সম্ভব না।তারা মিথ্যা ও বানোয়াট নিয়োগ বোর্ড বসিয়েছে, শুধু নাম মাত্র তারা আগে থেকে ক্যানডিডেট সিলেক্ট করে রেখেছেন।

এভাবে অনিয়ম দূর্নীতি করেও তাহারা পার পেয়ে যাচ্ছে। মানববন্ধন কর্মসূচি হলেও কোনো পদক্ষেপ নেই।এভাবে যদি নিয়োগ বানিজ্য সিন্ডিকেট পরিচালনা করে,তা হলে সেই দেশে মানুষের অধিকার আছে বলে আমার মনে হয় না।আমরা এর একটি সমাধান চাই, আমরা চাই নিয়োগ বাতিল করে নতুন করে নিয়োগ বোর্ড বসানো হোক। ভাইভা ও লিখিত পরিক্ষার মাধ্যমে যোগ্য ব্যক্তি কে নিয়োগ দেওয়া হোক।

নব যোগদান কারি নৈশ প্রহরী প্রনাব কুমার বিশ্বাস কে গণমাধ্যম কর্মীরা জিজ্ঞাসা করেন, কোন পত্রিকার নিয়োগ বিজ্ঞাপন দেখে আপনি আবেদন করেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানায়” তা আমি জানিনা”।তিনি আদেও জানেন না কোন পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছিলো।

এবিষয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি এখন ছুটিতে আছি আগামীকাল অথবা পরশুদিন যোগাযোগ করেন। শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার বলেন,বিষয়টি আমার জানা নেই। পরবর্তী প্রশ্ন করতেই ফোন কেটে দেন। জনসাধারণের দাবি এটা একটি সাজানো নিয়োগ বোর্ড, যেখানে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ৪৫ লক্ষ টাকা।আমরা এই নিয়োগ বাতিল চাই।যোগ্যতা যাচাই করে নিয়োগ দেওয়া হোক।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: