গুরুকে সম্মান জানিয়ে মোতাহার হোসেন দুষ্টু'র সাংবাদিক হয়ে ওঠার গল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০২২ ০৫:৪৪

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০২২ ০৫:৪৪

ছবি সমসাময়িক
মোঃ শাহ্ জালাল।। গত শুক্রবার ১৮ই মার্চ সকাল ৮টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত প্রেসক্লাবের নিজস্ব ভবনে মণিরামপুর প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে এই দিয়ে একটানা চতুর্থ বার মোতাহার হোসেন দুষ্টু (দৈনিক যুগান্তর/সমাজের কথা) সম্পাদক হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি সাংবাদিক মনিরুজ্জামান টিটো ও সাংবাদিক সিদ্দিক কে গুরু হিসাবে সম্মান জানিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে সাংবাদিক হয়ে ওঠার গল্প পোস্ট করেন।

সেই পোস্ট হুবহু পাঠকদের উদ্দেশ্য তুলে ধরা হলো:

সাংবাদিকতায় আসা নিয়ে আমার দু'টি কথা: আমি (মোতাহার হোসেন দুষ্টু) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া থেকে ইলেট্রনিক্স ও ফলিত পদার্থ বিজ্ঞানে ২০০০ সালে অনার্স ও ২০০১ সালে মাস্টার্স শেষ করে পারিবারিক কারনে ধলিগাতী-সুন্দলপুর মাদ্রাসায় শিক্ষকতা পেশা শুরু করি। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শাহীন চাকলদার দৈনিক সমাজের কথা পত্রিকা প্রকাশ করার পর মণিরামপুরের সাবেক এমপি প্রয়াত এ্যাডভোকেট খান টিপু সুলতান, আমার বড় ভাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক প্রয়াত গোলাম মোস্তফা ও জিএম মজিদ ভাই আমাকে দলীয় অফিসে ডেকে পাঠালেন। আমি সেখানে গিয়ে দেখি বড় ভাই গোলাম মোস্তফা ও জিএম মজিদ ভাই বসে আছেন। বড় ভাই ও জিএম মজিদ ভাই বললেন তোকে সাংবাদিক হতে হবে। টিপু ভাই বলেছেন আমাকে এবং প্রভাষক উত্তম চন্দ্র দাদাকে ( বর্তমান ক্যান্সারে আক্রান্ত) সমাজের কথা পত্রিকায় লিখতে হবে। আমি বললাম আমিতো আগে করিনি,তারা বললেন টিপু ভাই বলেছে আমাদেরকে করতেই হবে। তাদের কথা মতো সমাজের কথা অফিসে গেলাম। গিয়ে দেখি একজন ভদ্রলোক বসে আছেন। পরে জানলাম উনার নাম সেলিম (এখন উনি বেচে নেই)। কাছে গিয়ে বলতেই উনি বললেন,আগে অভিজ্ঞতা না থাকলে সমস্যা। তারপর বললেন একটা CV দিয়ে যান। তেমন একটা গুরুত্ব দিলেন না।ফিরে এসে বলাতেই টিপু ভাইকে বড় ভাই ও জিএম মজিদ ভাই জানালেন। কিছুক্ষণ পর তারা বললেন কাল আবার যাবি টিপু ভাই কথা বলেছেন। পরদিন সমাজের কথা অফিসে গেলে প্রয়াত সেলিম ভাই পত্রিকার তৎকালিন নির্বাহী সম্পাদক ওয়াবুজ্জামান ঝন্টু এবং ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মামুন ভাইয়ের কাছে নিয়ে গেলে তারা দুজনই নিউজ পাঠানোর জন্য বললেন।
নিউজ পাঠাতে গিয়ে পড়লাম বিড়ম্বনায়। কিছুইতো লিখতে পারিনা। কিন্তু কারো লেখা কপি করে পাঠাবো এমনটাও করতে চাইনি। লেখার জন্য সিদ্দিক ভাই ও মনিরুজ্জামান টিটো'র সাহায্য নিলাম। নিউজ লেখার ক্ষেত্রে টিটো ব্যাপক সহযোগিতা করতো এবং সাথে সিদ্দিক ভাই। রাত-দিন ধ্যান জ্ঞান শিখতে হবে। এভাবে কতদিন,মাস,বছর টিটোর দোকানে শুয়ে বসে কাটিয়েছি। কয়েকমাস পর থেকেই নিজেই নিউজ লেখা শুরু করলাম। সিনিয়ররা লেখার প্রসংশা শুরু করলেন।অল্পদিনে লেখার মান বেশ বলে প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য প্রয়াত অধ্যাপক এম এ রাজ্জাক স্যারও খুব প্রশংসা করলেন। এতে উৎসাহ গতি আরও বেড়ে গেলো। আমার নিউজ লেখার ক্ষেতে বড় অবদান টিটো, তারপর সিদ্দিক ভাই। নিউজ লেখার ক্ষেতে টিটো আমার উস্তাদ। পত্রিকার ঝন্টু ভাই এবং মামুন ভাই বেশ সহযোগিতা করেন। টাইপ করাও শিখেছি টিটোর কাছ থেকে। এরপর থেকে চলছে। এর আগে উত্তম দাদা বললেন, তিনি ছুটাছুটি করে পারবেন না। সুতরাং আমাকেই এখন থেকে কাজ করতে হবে। পত্রিকায় শুরুতেই আমার দোস্ত ডাঃ মিজানুর রহমান ছিল। আমি নিউজ পাঠানো শুরুর কয়েক মাস পর দোস্ত মিজান অন্য আরেকটা পত্রিকায় কাজ শুরু করে। এরপর সেই থেকে আছি। এরমধ্যে জাতীয় পত্রিকা আজকের বসুন্ধরা, মানবকন্ঠ, করতোয়া এবং এখন পর্যন্ত ইন্দ্রজিৎ দাদার অবিরাম সহযোগিতায় যুগান্তরের সাথে আছি। এখনো লেখার প্রশংসা শুনি। এটাই তৃপ্তি। আমি যেন ভাল লিখতে পারি সেজন্য সবার দোয়া-আশির্বাদ কামনা করি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: