ঈদের দিনেও স্টেশন ছেড়ে যায়নি- মহিউদ্দীন রনি

অনলাইন নিউজ ডেস্ক।। | প্রকাশিত: ১৯ জুলাই ২০২২ ১৭:০৯

অনলাইন নিউজ ডেস্ক।।
প্রকাশিত: ১৯ জুলাই ২০২২ ১৭:০৯

ঈদের দিনেও স্টেশন ছেড়ে যায়নি- মহিউদ্দীন রনি

মহিউদ্দীন রনি, টানা দশদিন ধরে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে। ঈদের দিনেও স্টেশন ছেড়ে যায়নি, হাতে পায়ে শিকল বেঁধে প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। ব্যক্তিগত কোনো স্বার্থে এমন প্রতিবাদ নয়, রেলওয়েতে আদিকাল থেকে চলে আসা অচলায়তন ভাঙতে এই আওয়াজ।

কিন্তু রনির এমন কাণ্ডে আমি হতাশ। ওর ঠিক হয়নি কাজটা। নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর কি দরকার ছিল। মাত্র ষোলশ টাকা না হয় ওর গেছেই। ওইটা রেলমন্ত্রী মহোদয়কে কোরবানির ঈদে ছদকা হিসেবে দান মনে করলেই হতো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেছে ভাই, তুমিতো এমনিতেই চেতনার পাইকারি সাপ্লায়ার। একা একা প্রতিবাদ করে বলদামি করতেছ।

একজন রেল মিনিস্টার আছেন। একজন মিনিস্টার ভাবিও আছেন। রেলের যাত্রীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে যদিও এরা বিমানে চলাচল করে। রেলের উপর হালকা আস্থার সংকট নিজেদেরও।
এই দশটা দিনেও তারা ছেলেটির কাছে যেতে পারেননি। কমিটমেন্ট করতে পারেননি, জিইয়ে রাখা সমস্যার সমাধান করবেন। আসলে দুর্নীতি নির্মূল করবেন না, তাই কমিটমেন্টেও যাননি। এটা ভালো ওয়াদা দিয়ে ওয়াদা ভাঙা মুমিনের লক্ষণ নয়। রেলওয়ের অনেক হোমরাচোমরা আছেন, উর্ধ্বতন কামলা আছেন। কেউ ছেলেটিকে আশ্বস্ত করতে পারেননি। সাহস দিয়ে বলতে পারেননি বাড়ি ফিরে যাও, এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে। দু:খ প্রকাশ করতেও কোনো সুশিল যেতে পারেননি। আসলে তাদের অনেক কাজ, তাই সময় হয়নি।

এত ছাত্রসংগঠন, কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে হলেও মহিউদ্দীন রনির পাশে কেউ দাঁড়াতে পারতো। নিদেনপক্ষে একটা কথা বলতে পারতো। কারো সময় হয়নি। এত এত রাজনৈতিক দল, একটা বিবৃতিতো দিতে পারতো। আর না হোক সরকার বিরোধী দলগুলোও পাবলিক ইস্যু হিসেবে এটা লুফে নিতে পারতো। আসলে কেউ কথা বলবেনা। কারণ এরা সবাই সুফলভোগী। আমজনতা বাদে। কারণ কোনোদিন কোনো নেতার রেলওয়ের সিটের অভাব হয়নি। ব্যক্তিগত গাড়িতো আছেই সবার। ক্ষমতার পরিবর্তন হলেতো এই সিস্টেম ধরে রাখতে হবে। কোটি কোটি টাকার হিসাব। এত সহজে ছাড়া যায় !

কপি: Sanaul Haque Sunny এর ফেসবুক থেকে।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: