বঙ্গবন্ধু কোন দেবতার প্রতিনিধি নন,তিনি বাঙালি জাতির আদর্শের প্রতিক

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৬ ডিসেম্বর ২০২০ ১১:৫৪

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৬ ডিসেম্বর ২০২০ ১১:৫৪

ছবি সমসাময়িক
  আশরাফ হায়দার।। মূর্তি শব্দের অর্থ হলো (বিশেষ্য পদ) আকৃতি,দেহ, চেহারা,আকার ও প্রতিমা। মূর্তি শব্দের আক্ষরিক শব্দ হলো "অবয়ব"। অর্থাৎ মূর্তি দেবতার প্রতিনিধি। ভাস্কর্য শব্দের অর্থ হলো ( বিশেষ্য পদ) ধাতব, মর্মর মূর্তি, নির্মাণ শিল্প। ত্রি-মাত্রিক শিল্প কর্মকে ভাস্কর্য বলে। মূর্তি ও ভাস্কর্য শব্দের আভিধানিক অর্থ এক হলেও এর প্রায়োগিক আদর্শিক, সৌন্দর্যবর্ধন, সাংস্কৃতিক, নান্দনিক, কৃষ্টিক। মূর্তি আর ভাস্কর্য শব্দের পার্থক্য বিস্তর। মূর্তি-- প্রতিমা । আর প্রতিমাকে পূজা করা হয়। ভাস্কর্য শব্দের অর্থ হলো প্রস্তরাদি। যা খোদাই করে যা নির্মাণ করা হয় সেটাই হলো শিল্পকর্ম। তাই ভাস্কর্যের মধ্যে ভাস্করের স্বকীয় সৃজনশীল চেতনার চিহ্ন যতটা পরিস্ফুট হয়। মূর্তি অর্থাৎ প্রতিমাকে পূজা করা হয়। ভাস্কর্য সৌন্দর্যবর্ধন বা আদর্শের প্রতিক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ইংরেজিতে এ গুলো " স্টাচু" বলা হয়। তাই এ গুলো পূজিত নয়। ভাস্কর্য নামে পরিচিত। অর্থাৎ মূর্তি, ভাস্কর্য এক হলেও ভাস্কর্য কখনো প্রতিমা নয়। অতএব ভাস্কর্য নির্মাণ কোন দোষের নয়। যেহেতু ভাস্কর্যের পূজা করা হয় না। আদর্শের প্রতিক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই আদর্শের প্রতিক গুলো কখনো মসজিদের ভিতরে থাকে না,থাকে উম্মুক্ত জায়গায়। তাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু,লালন,মাইকেল, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুল ইসলাম,বেগম রোকেয়া আমাদের আদর্শের প্রতিক। মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য আমাদের চেতনার প্রতিক, আমাদের স্বাধীনতার প্রতিক। মূর্তি হলো দেবতার প্রতিনিধি ভাস্কর্য হলো আদর্শের প্রতিক। তাই বঙ্গবন্ধু কোন দেবতার প্রতিনিধি নন,তিনি বাঙালি জাতির আদর্শের প্রতিক মাত্র। আজ যারা ভাস্কর্যের বিরোধীতা করছেন তারা পাকিস্তানি প্রেতাত্মা আর দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারি। লেখক, কবি, গীতিকার, নাট্যকার, সাহিত্যিক ও কলামিস্ট


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: