নেলসন মার্কি লাইফটাইম এচিভমেন্ট এওয়ার্ড পেলেন- ড. এ.টি.আর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৯ ডিসেম্বর ২০২০ ১৩:০৬

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৯ ডিসেম্বর ২০২০ ১৩:০৬

ছবি সমসাময়িক
  এম. এ. আলিম খান।। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান উন্নয়নে অগ্রণী ভুমিকা রাখায় সমাজসেবায় আমেরিকার নেলসন মার্কি লাইফটাইম এচিভমেন্ট এওয়ার্ড পেলেন ‘ভাব’ এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট ড. এ.টি.আর রহমান। নেলসন মার্কিস প্রকাশিত হুজ হু ইন আমেরিকা, ১৮৯৯ সাল থেকে আমেরিকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল ব্যক্তিদের এই সম্মাননা প্রদান করে আসছেন। ২০২০ সালে সমাজসেবায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ড. এ.টি. আর রহমানকে নেলসন মার্কি লাইফটাইম এচিভমেন্ট এওয়ার্ড প্রদান করা হয়। ড. রহমান এর আগে এশিয়ান আমেরিকান নেট প্রদত্ত হুজ হু অব এশিয়ান আমেরিকান এওয়ার্ড পান। ১৯৩৬ সালে বাংলাদেশের ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলায় ড. এ.টি. আর রহমান জন্মগ্রহন করেন। তিনি ১৯৫৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং ১৯৬৯ সালে আমেরিকার ডিউক ইউনিভার্সিটি থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ড. রহমান কুমিল্লায় (বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী) বার্ডে কর্মজীবন শুরু করেন এবং তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষকতা করেছেন। ড. রহমান কানাডার কার্লটন ইউনিভার্সিটি, আমেরিকার হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির ইনিস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এবং সিটি ইউনিভার্সিটির বারুখ কলেজ ও জন জে কলেজ অব ক্রিমিনাল জাস্টিসে শিক্ষকতা করেছেন। ড. রহমান রুরাল ডেভলপমেন্ট এবং পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন নিয়ে ৭টি বই লিখেছেন। তিনি ক্যানাডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট রিসার্স সেন্টার এবং জাতিসংঘ সচিবালয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। জাতিসংঘ থেকে অবসরের পর বাংলাদেশের বিজয় দিবসে ১৯৯৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর ড. রহমান প্রবাসী বাংলাদেশী এবং তাঁদের বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে নিউইয়র্কে প্রতিষ্ঠা করেন ভলান্টিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন ফর বাংলাদেশ যাকে সংক্ষেপে ভাব বাংলাদেশ বলা হয়। ২০০০ সাল থেকে এই সংস্থাটি বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ভাব বাংলাদেশ ২১ বছর ধরে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সুবিধাবঞ্চিত মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি, ইংরেজি, গণিত অলিম্পিয়াড, কম্পিউটার, বিতর্ক, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ প্রদান, দলভিত্তিক শিক্ষা পদ্ধতিতে পাঠদান, শতভাগ কম্পিউটার সাক্ষরতা, স্কুলে কম্পিউটার, বৈজ্ঞানিক সরঞ্জাম ও লাইব্রেরিতে বই প্রদান, অভিভাবক সমাবেশ, শিক্ষামেলার আয়োজনসহ একটি স্থায়িত্বশীল গুণগত শিক্ষা মডেলের আলোকে গ্রামাঞ্চলের মাধ্যমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করছেন। ভাব বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা অনেকেই আজ সমাজে প্রতিষ্ঠিত কেউ ডাক্তার, কেউ সরকারি/বেসরকারি কর্মকর্তা, কেউ শিক্ষক। ভাব বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা আজ বিটিভিতে বিতর্ক করছে, গণিত অলিম্পিয়াডে জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করছেন। বর্তমানে গ্রামাঞ্চলের ৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থী কম্পিউটার সাক্ষরতা সম্পন্ন। জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মেয়েদের ক্রিকেটে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন ভাব প্রকল্পভুক্ত স্কুল। ড. রহমানের নিরলস প্রচেষ্টার ফলে সংস্থাটা বাংলাদেশের মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নয়নে অগ্রণী ভুমিকা রেখেছেন।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: