রিকশাচালক আদর্শের প্রতীক

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৮:৩৫

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৮:৩৫

ছবি সমসাময়িক
রিকশাচালক আদর্শের প্রতীক আশরাফ হায়দার।। শেখ বালাম'র সাথে আজ পরিচয় হয়েছিল দুপুর ১২ টার সময় আগারগাঁও ইসলামী ফাউন্ডেশনের সামনে। বালাম একজন রিকশাচালক। তিনি একজন প্রতিবন্ধী। ৩ মাস বয়সে তিনি মাকে হারান। ছোট কালে জ্বর হয়েছিল। সেই জ্বরে একপাশ পড়ে যায়। শৈশব থেকে তিনি প্রতিবন্ধী। তখন থেকে জীবনের সাথে সংগ্রাম করে বেঁচে থাকা। বাবা মা কেউ বেঁচে নেই। তিন ছেলে মেয়ে। মেয়েটি বিয়ে দিয়েছেন। বড় ছেলেটাকে গাড়ি চালানো শিখাছেন। ছোট ছেলেটা স্কুলে পড়ে। এক হাত,এক পা অচল অবস্থায় তিনি রিকশা চালিয়ে ইনকাম করেন। সেই টাকা দিয়ে তিনি পরিবার নিয়ে ভাল ভাবে বেঁচে আছেন। তার প্রতিদিন আয় ৫০০/৬০০ টাকা। আমি তাকে বললাম, "রিকশা চালাতে কষ্ট হয় না? তিনি বললেন, রিকশা চালানোর কষ্টের চেয়ে বড় কষ্ট হলো মানুষের কাছে হাত পাতা" নিজে ইনকাম করে খাওয়ার মাঝে আনন্দ আছে। আরো বললেন, " আমার প্রিয় নবী হাত পাতা পছন্দ করতেন না" তার কথা শুনে আমি হতবাক! অথচ সুস্থ সবল অনেক লোক সরকারের কাছে সাহায্যের জন্য হাত পাতেন। ঘুষ খান, ভিক্ষা,চুরি,ডাকাতি,ছিনতাই,করেন। আমি বললাম,এই রিকশাটি কি নিজের? তিনি বললেন," পূবালী ব্যাংকের অফিসার আব্দুর রাজ্জাক কিনে দিয়েছেন। সেই ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়ি বিক্রমপুর। এই করোনার সময় দেখলাম সরকারের অনেক গাড়ি বাড়ি ওয়ালাও নিয়েছেন। তাদের বিবেকে একবারও বাঁধেনি হাত পাতা ফড়িং লজ্জার। মানুষের এতো লোভ কেনো তা আমার বোধগম্যের বাইরে। আমি বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকা ভুক্ত নাট্য শিল্পী তারপরও সরকারের দেওয়া ৫০০০ টাকা অনুদান আমি নেইনি। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক তাই খেটে খেতে জানি। দিন আনি দিন খাই তারপরও কোনো চাহিদা নেই। এই প্রতিবন্ধী রিকশা চালকের কাছে সুস্থ সবল সচ্ছল মানুষের শিক্ষা নেওয়া উচিৎ। ইচ্ছে থাকলে হয় পথে ভাল আয় রোজগার করে পরিবার নিয়ে খেয়ে পরে বেঁচে থাকা যায়। তবে ইচ্ছা শক্তি টাই হলো বড়। এই রিকশা চালক হলেন আদর্শের প্রতীক। আমি এই রিকশা চালককে স্যালুট জানাই। জয় হোক আদর্শবান মানুষদের।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: