
মুহা :আবুহানিফ বিন সাঈদ,বানিয়াচং,হবিগন্জ।।
এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বৃহত্তম গ্রাম হবিগন্জের বানিয়াচং। আয়তনের দিক দিয়ে যেমন বড় প্রত্নতাত্তিক সম্পদের দিক দিয়েও এই গ্রাম এগিয়ে । কালের বিবর্তনে এ জনপদ বর্তমানে গ্রাম হলেও প্রাচীনকালে যে এটি শহর ছিল কালের স্বাক্ষী হিসাবে তার আরো প্রমান বহন করে চলেছে এখানকার অনেক মুল্যবান প্রত্নতত্ত্ব সম্পদ। অযত্ন অবহেলায় একে একে এসব বিনষ্ট হয়ে গেলেও রক্ষণাবেক্ষণে নেই কোন তৎপরতা। প্রাচীন লাউর রাজ্যের রাজধানী শহর বানিয়াচংয়ের যেসব প্রত্নতত্ত্ব সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বিলীন হয়ে যাচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রাজা কেশব মিশ্রের বাড়ী,বার ভুইয়া খ্যাত পরাক্রমশালী যোদ্ধা আনোয়ার খার বাড়ী, সাহিত্য বিশারদ পদ্ননাথ স্বরস্বতীর বাড়ী, জন্মান্ধ কবি ফয়জু ফকিরের বাড়ী,উর্দু কবি ফারজান আলী বেখুদের বাড়ী,মধ্য যুগের গায়ক মনসুর বয়াতীর বাড়ী,আদি মৃত্তিকা খন্ডের উপর নির্মিত এখানকার স্থাপনা কালিকা পাড়ার মসজিদ , নন্দী বাড়ীর মন্দির ও বানিয়াচংয়ে পর্যটন স্পট লক্ষ্মীবাওর জলবান। বর্তমানে বিলীন হওয়ার আশংকা রয়েছে বাইসাইকেলে প্রথম বিশ্ব ভ্রমণকারী ভূ -পর্যটক রামনাথ বিশ্বাসের বাড়ী, মিয়াখানী মন্দির, চানপাড়া মন্দির, চানপাড়া মসজিদসহ অসংখ্য পুরাকীর্তি। তবে এলাকাবাসীর স্বেচ্ছা অনুদানে সামান্য রক্ষণাবেক্ষণ এর কারণে ঠিকে আছে আদিমিত্তিকার উপর নির্মিত এখানকার প্রথম স্থাপনা কালিকা পাড়ার মসজিদ ও বিবির দরগা মসজিদসহ অল্প কয়েকটি ধর্মভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। এসব প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ করলে এখান থেকে সরকারের প্রচুর পরিমাণ রাজস্ব আয় হতো আরো পূর্বেই প্রত্নতত্ত্ব সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন।তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এসব রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: