যশোরের ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরাসনের দাবীতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০২০ ১৯:৩৪

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০২০ ১৯:৩৪

ছবি সমসাময়িক
রিপন হোসেন সাজু,মণিরামপুর( যশোর)।। ভবদহ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে জোয়ারাধার (টিআরএম) চালুর দাবীতে ভুক্তভোগী এলাকার নারী-পুরুষ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ভবদহ পানি নিস্কাশন আন্দোলন কমিটির আয়োজনে জলাবদ্ধ মশিয়াহাটি স্কুল মাঠের সামনে এ মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অপর দিকে নতুন সৃষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়েও শংসয় প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা। এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, কুলটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখর চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ভবদহ পানি নিস্কাশন আন্দোলন কমিটির আহবায়ক অভয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবুল ফারাজী, মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী মাহমুদুল হাসান, অভয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সরদার ওলিয়ার রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান বিষ্ণুপদ বিশ্বাস, বিকাশ রায়, সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব কামরুজ্জামান, আওয়ামীলীগ নেতা রুহুল আমিন, কালিপদ মন্ডল, কামরুজ্জামান কামরুলসহ জলাবদ্ধ এলাকার আন্দোলনরত কমিটির নেতৃবৃন্দ। যশোরের মনিরামপুর, অভয়নগর, কেশবপুর ও খুলনার ডুমুরিয়া এবং ফুলতলা উপজেলার অংশ বিশেষ মানুষের চোখে ভাসছে ভবদহের করাল গ্রাসের সৃষ্টি হওয়া জলাবদ্ধতার দৃশ্য। ভবদহ অঞ্চলে ছোট-বড় ৫৪টি বিল রয়েছে। এ অঞ্চলের পানি ওঠানামার পথ মুক্তেশ্বরী, টেকা, শ্রী ও হরি নদী। কিন্তু সব নদীর তলদেশ কমবেশি ভরাট হয়ে বিলের চেয়ে উঁচু হয়ে গেছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বিলে ঢুকে সব তলিয়ে গেছে। যে কারনে প্রায় ৪ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে জলাবদ্ধতা থেকে রায় প্রতি বছরই নদী খননসহ সরকার নানা প্রকল্প হাতে নেয়। গত ৪ থেকে ৫ বছরে ভবদহে খনন প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা ব্যয় হলেও বাস্তবে কাজের কোন সুফল হয়নি। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও জলাবদ্ধতায় ভুগছে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ। ভবদহ অঞ্চলের মুক্তেশ্বরী, টেকা, শ্রী ও হরি নদীর পানি চলাচল নির্বিঘœ রাখতে ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১৪টি প্রকল্পে প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকার পাইলট চ্যানেল খনন কাজ করা হয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় ৮০৮ কোটি টাকার আরেকটি নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ‘ভবদহ ও তৎসংলগ্ন বিল এলাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণ’ নামের এই প্রকল্পে ৬২টি নদী ও খাল পুনঃ খনন, খালের ওপর ১৯টি কালভার্ট নির্মাণ, বাঁধ ও সড়ক নির্মাণ এবং ২০টি সুইচ গেট নির্মাণ ও সংস্কারের কথা উল্লেখ রয়েছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের খুশি হওয়ার কথা। কিন্তু তাঁরা বলছেন, কয়েক বছরে ভবদহের খনন প্রকল্পে যে দুর্নীতি হয়েছে, তাতে পুরো টাকাই পানিতে গেছে। নতুন করে ৮০৮ কোটি টাকার প্রকল্পে ব্যক্তি বিশেষে বড় আকারে দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি হবে এমন আশংকাও করা হয়েছে। ফলে ভবদহের জলাবদ্ধতা দূর হবে কিনা এলাকাবাসী তা নিয়ে শংসয় প্রকাশ করেছেন।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: