নর্দান সাইপ্রাসে তুরস্কের সামরিক মহড়া, উত্তেজনা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১০:৪৬

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১০:৪৬

ছবি সমসাময়িক
নর্দান সাইপ্রাসে বার্ষিক সামরিক মহড়া শুরু করেছে তুরস্কের সেনাবাহিনী। পূর্ব ভূমধ্যসাগরে গ্রিসের সঙ্গে যখন আঙ্কারার উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে তখন রোববার থেকে এই মহড়া শুরু করেছে তুরস্ক। ভূমধ্যসাগরে এমন সব জলসীমায় তুরস্ক তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রের সন্ধান করছে, যার মালিকানা দাবি করে গ্রিস। এ নিয়ে ন্যাটোর সদস্য এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে মারাত্মক টান ধরেছে। ঠিক এমন সময়ে ‘মেডিটারেনিয়ান স্টর্ম’ নামে সামরিক মহড়া শুরু করেছে তুরস্কের সামরিক বাহিনী।  এমনটাই টুইটারে জানিয়েছেন তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াদ ওকটাই। এতে নর্দান সাইপ্রাইসকে তুর্কি প্রজাতন্ত্র বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তিনি টুইটারে বলেছেন, আমাদের দেশ এবং টিআরএনসি (তার্কিশ রিপাবলিক অব নর্দান সাইপ্রাস) এর নিরাপত্তা আমাদের অগ্রাধিকারে রয়েছে। ওই মহড়া নিয়ে টুইট করেছে তুরস্কের সেনাবাহিনীও। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। উল্লেখ্য, সাইপ্রাস দুটি ভাগে বিভক্ত। একটি অংশ গিয়েছে দক্ষিণে গ্রিসের দিকে। একে বলা হয় গ্রিক সাইপ্রিয়ট। অন্য অংশ পড়েছে উত্তরে তুরস্কের দিকে। একে বলা হয় তার্কিশ সাইপ্রিয়ট। উত্তরে ১৯৭৪ সালে আগ্রাসন চালানোর পর সেই এলাকায় কয়েক লাখ সেনা মোতায়েন রেখেছে তুরস্ক। এসব নিয়ে তুরস্ক ও গ্রিসের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। রোববার টেলিফোনে এ নিয়ে আলোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগান ও ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল। এ সময় তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের সব প্রতিষ্ঠান ও সদস্য রাষ্ট্রকে আহ্বান জানান সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, ফলপ্রসূভাবে আঞ্চলিক সমস্যার সমাধান দিতে। চার্লস মিশেল বলেছেন, ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের নেতারা সমস্যার সমাধান দেয়ার চেষ্টা করছে। আগামী ২৪ ও ২৫ শে সেপ্টেম্বর যে কনফারেন্স আহ্বান করা হয়েছে তাতে উভয় পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য সমাধান দেয়ার চেষ্টা করবে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন। ওদিকে শনিবার গ্রিসকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এরদোগান। তিনি বলেছেন, তাদেরকে রাজনীতি এবং কূটনীতির ভাষা বুঝতে হবে। অন্যথায় তিক্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। এ কথায় গ্রিসের পাশে দাঁড়িয়েছে ফ্রান্স। তারা বলেছে, গ্রিসের সঙ্গে সংঘাতটা বাড়িয়ে তুলছে তুরস্ক। এ মাসে ইউরোপীয়ান কাউন্সিলের বৈঠকে প্রধান আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে সাইপ্রাইস। সেখানে আঙ্কারার বিরুদ্ধে অবরোধ দেয়া হতে পারে। ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ ইভেস ড্রিয়ান বলেছেন, তুরস্কের প্রেক্ষাপটে কি প্রতিশোধমুলক ব্যবস্থা নেয়া যায় তা নিয়ে তিনি ও ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এরই মধ্যে আলোচনা করেছেন।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: