জেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই প্রার্থী আওয়ামীলীগের দুই পক্ষের প্রেস্টিজ ইস্যুতে রুপান্তরিত হয়েছেন"

আনোয়ার পারভেজ অনুজ।। | প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৬:৪৭

আনোয়ার পারভেজ অনুজ।।
প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৬:৪৭

ফাইল ফটো

আসন্ন যশোর জেলা পরিষদের নির্বাচনে সদস্য পদে দুই প্রার্থী যশোরের মনিরামপুরে আওয়ামীলীগের দুই পক্ষের প্রার্থী হিসেবে পরিচিতি পেয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন। এই নির্বাচনে নিজ-নিজ পক্ষের জয় পরাজয় দলীয় গ্রুপিংয়ের জন্য বড় প্রেস্টিজ ইস্যুতে রুপ নিয়েছে। একারণে ভোটাররা কার্যত দুভাগে ভাগ হলেও বড় একটি অংশ দু'পাশেই সমান যোগাযোগ রক্ষা করাসহ ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য কথিত নিরপেক্ষতা বজায় রেখে চলেছেন।

মনিরামপুর (৭নং ওয়ার্ড) ভোটার সংখ্যা ২৫৭। প্রার্থী হয়েছেন জেলা পরিষদের সদ্য সাবেক সদস্য আওয়ামীলীগ নেতা গৌতম চক্রবর্তী এবং আওয়ামী লীগ নেতা এবং জেলা পরিষদের সদ্য সাবেক সদস্য শহীদুল ইসলাম মিলন। উভয় প্রার্থী একই দলের এবং পরিচিত মুখ। কিন্তু এদের মধ্যে ব্যবধান রয়েছে দলীয় লবিং গ্রুপিংয়ের কারণে।

গৌতম চক্রবর্তী হলেন প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের আপন ভাগ্নে। আর শহীদুল ইসলাম মিলন হলেন প্রতিমন্ত্রী বিরোধী সোচ্চার গ্রুপের সামনের সারির একজন সক্রিয় নেতা। এ কারণে এই গ্রুপের লোকজন মনে করছেন মিলনের বিজয় মানে প্রতিমন্ত্রীর পরাজয় অর্থাৎ প্রতিমন্ত্রীর আপন ভাগ্নেকে পরাজিত করে প্রক্ষান্তরে প্রতিমন্ত্রীকে হারিয়ে বিজয়ের স্বাদ নিতে চান।

অপরদিকে, প্রতিমন্ত্রী পক্ষীয়রা ভাবছেন, গৌতম চক্রবর্তী পরাজিত হলে স্থানীয় রাজনীতিতে তাদের ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এজন্য তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গৌতম চক্রবর্তীকে বিজয়ী করতে। অর্থাৎ দুই গ্রুপের লোকজন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন নিজ পক্ষীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে। এ কারণে গোটা উপজেলার চেয়ারম্যান মেম্বরদের একটি অংশ দুভাগে ভাগ হয়ে পড়েছেন। তবে একটি অংশ রয়েছে তারা মূলত দুপাশেই গোপনে তাল্ মিলিয়ে চলছেন। এছাড়া মেম্বরদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন দুপাশ থেকেই টাকা হাতানোর ধান্ধা নিয়ে।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: