দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে যুবলীগ গড়বে স্মার্ট বাংলাদেশ : দক্ষিণ জেলা যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম শাহীন

সেলিম চৌধুরী নিজস্ব সংবাদ দাতা।। | প্রকাশিত: ৭ মার্চ ২০২৩ ১১:০৩

সেলিম চৌধুরী নিজস্ব সংবাদ দাতা।।
প্রকাশিত: ৭ মার্চ ২০২৩ ১১:০৩

ছবি- সমসাময়িক ফটো।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী যুবলীগ নেতা ও পটিয়ার কৃতি সন্তান সাবেক ছাএনেতা সাইফুল ইসলাম শাহীন বলছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে আগামীতে যুবলীগ গড়বে সমৃদ্ধ ও মেধাভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ। উদ্যমী যুবলীগের ঐক্যবদ্ধ নেতা-কর্মীরা এই গন্তব্যে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।
তিনি আরোও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি শেখ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল এর নেতৃত্বে সারাদেশে আওয়ামী যুবলীগ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছে। এর ধারাবাহিকতায় পটিয়া উপজেলায় কাজ শুরু করেছেন পটিয়ার কৃতি সন্তান বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম বদির নেতৃত্বে ঐকবদ্ধ হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম শাহীন, এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে সোনার বাংলা গড়ার দায়িত্ব সম্ভাবনাময় যুব শক্তির উপর অর্পণ করেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে সোনার বাংলার আধুনিক রুপ ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল পথ পরিক্রমায় ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’র পথে এগিয়ে যাবে দেশ। এই চলার পথে প্রধান শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।

শুধু দেশের উন্নয়নেই নয়, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রকারীদের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র চলার পথকে মসৃণ করে যাচ্ছে যুবলীগ। রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের পরীক্ষার তিনটি ক্ষেত্র হচ্ছে সংগঠন, আন্দোলন এবং নির্বাচন। সংগঠনের সম্মেলনে বোঝা যায় নেতৃত্বের যোগ্যতা, দক্ষতা ও জনপ্রিয়তা।
বিগত ২০০১ সালে এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে কারচুপির নির্বাচনে ক্ষমতা দখলকারী বিএনপি-জামাতের অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হয়ে ২৩ হাজার যুবলীগ নেতা-কর্মীর জীবন দিতে হয়েছিল। কিন্তু গুলি, বোমা, হত্যা’র পরেও যুবলীগ কখনো পিছপা’ হয়নি। অপরদিকে বিগত সময়ের সকল নির্বাচনে শেখ হাসিনা’র ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।
অর্থাৎ সাংগঠনিক সকল পরীক্ষায় যুবলীগ উত্তীর্ণ হয়েছে শতভাগ। তিনি আরোও বলেন, করোনাকালীন সময়ে অসহায় মানুষের মুখে খাবার তুলে দিয়েছে যুগলীগের কর্মীরা। অসম্পৃশ্য মরদেহ দাফন করেছে তাঁরা। কিংকর্তব্যবিমুঢ় কৃষকের জমির ফসল কেটে দিয়ে প্রশংসিত হয়েছে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। ভবিষ্যতেও মানবতার কল্যাণে কাজ করে যাবে যুবলীগ। কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক বদিউল আলম দীর্ঘদিন পটিয়া মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থেকে আর্থিক, খাদ্য, শীতবস্ত্র, মাস্ক,সাবানসহ বিভিন্ন পন্য সামগ্রি বিতরণ করে নজির সৃষ্টি করেছেন।
শাহীন বলেন,একটি যুবশক্তি সমাজ এবং রাষ্ট্র পরিবর্তনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সমাজ পরিবর্তনের জন্য চাই গতি, শক্তি ও প্রগতি। যারা পুরনো ধ্যান-ধারণা নিয়ে চলে এবং কূপমণ্ডূকতার আশ্রয় নেয়, তাদের দ্বারা সমাজ পরিবর্তন সম্ভব নয়। তাই কালে কালে যুবকরাই উড়িয়েছে পরিবর্তনের বৈজয়ন্তী।

ইতিহাসের পাতায় লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, বিশ্বে বিভিন্ন বিপ্লবের কারিগর যুবশক্তি যা এর যথার্থতা প্রমাণ করে। যুবকদের প্রসঙ্গে মাও সে তুং এর তাৎপর্যপূর্ণ উক্তিটি উল্লেখ করলে যুবশক্তির তাৎপর্য তুলে ধরতে সহজ হবে। মাও সে তুং বলেন, যুবরাই হচ্ছে গোটা সমাজের সবচেয়ে সক্রিয় আর সবচেয়ে সজীব শক্তি। তবে অবশ্যই প্রাপ্তবয়স্কদের কাছ থেকে যুবকদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ যুবশক্তির সঠিক প্রয়োগে অভিজ্ঞদের সহায়তার প্রসঙ্গ টেনে মাও সে তুং এ শক্তির পূর্ণতা দিতে চেয়েছেন।
পৃথিবীতে যুগে যুগে যুবকরাই এগিয়ে এসেছে এবং বিভিন্ন বিপ্লব ঘটিয়েছে। সে সকল যুবকেরা দারিদ্র দূরীকরণ, শিক্ষা সম্প্রসারণ, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সহ সকল অধিকার আদায়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। কয়েকটি উদাহরণ উল্লেখ করলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে। ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে ভগৎ সিংহ ছিলেন একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে তিনি ছিলেন অন্যতম প্রভাবশালী বিপ্লবী। কৈশোরেই ভগৎ ইউরোপীয় বিপ্লবী আন্দোলনের ইতিহাস সম্পর্কে পড়াশোনা করেন এবং নৈরাজ্যবাদ এবং কমিউনিজমের প্রতি আকৃষ্ট হন। জেলে ভারতীয় এবং ব্রিটিশ বন্দীদের সমানাধিকারের দাবিতে ৬৪ দিন টানা অনশন চালিয়ে তিনি সমর্থন আদায় করেন। প্রবীণ স্বাধীনতা সংগ্রামী লালা লাজপত রায়ের হত্যার প্রতিশোধে ব্রিটিশ পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট মিস্টার স্যান্ডার্সকে গুলি করে হত্যা করেন ভগৎ। বিচারে ভগৎ এর ফাঁসি হয়। তার দৃষ্টান্ত শুধুমাত্র ভারতীয় যুব সমাজকে স্বাধীনতা আন্দোলনে উদ্বুদ্ধই করেনি, ভারতে সমাজতন্ত্রের উত্থানেও সহায়তা করেছিল।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: