নিজ এলাকায় ‘অবাঞ্ছিত’ প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য

বিশেষ প্রতিনিধি।। | প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:১৮

বিশেষ প্রতিনিধি।।
প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:১৮

ছবি- মনিরামপুরে উত্তপ্ত জনগণ

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন কুমার ভট্টাচার্য্যরে অনুসারীরা যশোরের মণিরামপুরের ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামছুল হক মন্টুকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। ওই ঘটনার প্রতিবাদে গত সোমবার সমাবেশ করেন বিক্ষুব্ধরা। এ সময় তারা প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে রাজগঞ্জ এলাকায় ঢুকতে না দেয়ার ঘোষণা দেন।

অন্যদিকে ওই সমাবেশ ভণ্ডুল করতে প্রতিমন্ত্রী সমর্থিতরা পাল্টা সমাবেশ ডাকে। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দুপুরের পর থেকেই ইফতারির আগ পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন, এসিল্যান্ড আলী হাসান, ওসি শেখ মনিরুজ্জামান, পরিদর্শক (তদন্ত) ছাড়াও বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য অবস্থান নেন।
কর্মসূচি উপলক্ষে রাজগঞ্জ বাজারে চেয়ারম্যানের পক্ষের হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত হলেও প্রতিমন্ত্রীর লোকজনের সংখ্যা চোখে পড়ার মতো ছিল না। একপর্যায়ে চেয়ারম্যানের সমর্থকরা প্রতিবাদ সমাবেশের চেষ্টা করলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। দফায় দফায় বাধার মুখেও প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে মিছিল বের করেন চেয়ারম্যান পক্ষের নেতাকর্মীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খানম, স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কওছার আহম্মেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মিকাইল হোসেন, চাকলাদার আবুল বাশার, যুবলীগ নেতা শিপন সরদার, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের সভাপতি মনিরুজ্জামান মুকুল, সম্পাদক মারুফ আল রাজি, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রমেশ দেবনাথ প্রমুখ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন বলেন, শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থান নেয়া হয়। মণিরামপুর থানার ওসি শেখ মনিরুজ্জামান বলেন, উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী সেখানে অবস্থান গ্রহণ করি। এর আগে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের নির্বাচনী সংবাদে ‘প্রতিমন্ত্রীবিরোধী’ মন্তব্য করাকে কেন্দ্র করে গত রবিবার উপজেলা পরিষদের মিটিং শেষে ফেরার পথে পরিষদ চত্বরে লাঞ্ছিত হন ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মন্টু। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে রবিবারই ইফতারের আগে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ মিছিল করে এলাকাবাসী। পরে গত সোমবার এক সমাবেশে রাজগঞ্জ বাজারসংলগ্ন ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে ফের প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেন বিক্ষুব্ধরা। প্রশাসন তাদের বাধা দিলেও উপজেলার নেতাদের অংশগ্রহণে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

মিছিল থেকে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যরে বিরুদ্ধে অনিয়ম এবং ৫৫৫ বস্তা ত্রাণের চাল চুরির মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের ভাগ্নে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চুর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে স্লোগানও দেয়। চেয়ারম্যান সামছুল হক মন্টু বলেন, স্বপন ভট্টাচার্য্য সমর্থিত যুবলীগ নামধারী একদল সন্ত্রাসী আমাকে পরিষদ চত্বরে ঘিরে ধরে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে ও মারতে উদ্যত হয়। এ সময় পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় গত ১০ই এপ্রিল সোমবার পুলিশের সামনেই স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যকে উপজেলার রাজগঞ্জ এলাকায় ঢুকতে না দেয়ার ঘোষণা দেয়াসহ অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: