নির্বাচনের দিন ঈগল প্রতীকের কর্মীকে কুপিয়ে আহত, ঘটনা রেশ ধরে চেয়ারম্যান জিন্নাহ হামলার শিকার

সমসাময়িক | প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারী ২০২৪ ১১:০৩

সমসাময়িক
প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারী ২০২৪ ১১:০৩

ছবি- চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম জিন্নাহ

মণিরামপুর প্রতিনিধি।। ৮৯ যশোর-৫, মণিরামপুরের গত ৭ই জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন সকালে উপজেলার হেলাঞ্চি কৃষ্ণবাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে চেয়ারম্যান জিন্নাহর ছোট ভাই শীর্ষ সন্ত্রাসী হাবিবুর রহমান হাবি সেখানকার ঈগল প্রতীকের কর্মী সাবেক ইউপি সদস্য সাধন কুমারসহ দুইজনকে কুপিয়ে আহত করেছিলেন। সেই ঘটনার রেশ ধরে চেয়ারম্যান জিন্নাহ উপজেলা পরিষদ চত্বরে হামলার শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে।

চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম জিন্নাহ যশোরের মণিরামপুরের ৭ নম্বর খেদাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মাধ্যমিক স্তরের একটি বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে তার উপর এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় চেয়ারম্যানকে বহনকারী প্রাইভেট কারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার আগে মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসে উপজেলা চত্বরে লাঞ্ছিত হয়েছেন চেয়ারম্যানের বড় ভাই হযরত আলী।

৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন সকালে উপজেলার হেলাঞ্চি কৃষ্ণবাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে চেয়ারম্যান জিন্নাহর ছোট ভাই হাবিবুর রহমান হাবি সেখানকার ঈগল প্রতীকের কর্মী সাবেক ইউপি সদস্য সাধন কুমারসহ দুইজনকে কুপিয়ে আহত করেছিলেন। সেই ঘটনার রেশ ধরে চেয়ারম্যান জিন্নাহ উপজেলা পরিষদ চত্বরে হামলার শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে।

চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম জিন্নাহ বলেন, আমি টানা দুই বার হেলাঞ্চি কৃঞ্চবাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি। নতুন করে বিদ্যালয়ের কমিটি গঠনের তফসিল হয়েছে। নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল হক। আমি আবারও সভাপতি নির্বাচন করার উদ্দেশে ৭ জন অভিভাবক সদস্যর নামে মনোনয়ন কিনেছি। বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল এই মনোনয়ন পত্র জমা দিতে এসে হামলার শিকার হয়েছি।

তবে খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, হেলাঞ্চি ভোট কেন্দ্রের বাইরে হামলার শিকার সেই সাবেক ইউপি সদস্য সাধন কুমার কৃষ্ণবাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি প্রার্থী হিসেবে নিজের পক্ষের ৫ জন অভিভাবক সদস্যর মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। সাধন কুমার বলেন, জিন্নাহ্ চেয়ারম্যান গত ৭ই জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যশোর-৫ মণিরামপুরের পশ্চিম এলাকার এক আতঙ্ক তৈরি করে এবং সোশাল মিডিয়া ও প্রকাশ্যে সাধারণ ভোটারদের মাঠে না আসার নির্দেশ সহ আমি সহ দুই জনকে তার ভাই মণিরামপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী হাবিবুর রহমান হাবি চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে জখম। চেয়ারম্যান একাধিকবার হেলঞ্চি কৃষ্ণবাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দুই ধাপে ৮টি নিয়োগ দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়েছেন। কিন্তু স্কুলের উন্নয়নে তিনি কোন কাজ করেননি।

সাধন কুমার আরও বলেন, আমি এবার এলাকাবাসীর সমর্থন নিয়ে সভাপতি নির্বাচন করছি। বৃহস্পতিবার বিকেলে আমি ৫ জনের মনোনয়ন জমা দিয়েছি। তখন চেয়ারম্যানের উপর হামলার বিষয়ে কিছু শুনিনি। প্রিসাইডিং কর্মকর্তার অফিসের ভিতরে কিছু ঘটেনি।

উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল হক বলেন, হেলঞ্চি কৃষ্ণবটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। কোন প্রার্থীর লোক মনোনয়ন জমা দিতে এসে হামলার শিকার হয়েছেন এমন কিছু শুনিনি।

মণিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান বলেন, বিকেলে উপজেলা পরিষদ চত্বরে একটু ঝামেলা হয়েছিল। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: