স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন- নজরুল ইসলাম

সেলিম চৌধুরী নিজস্ব সংবাদ দাতা।। | প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০২৩ ০৫:৪৭

সেলিম চৌধুরী নিজস্ব সংবাদ দাতা।।
প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০২৩ ০৫:৪৭

ছবি- সমসাময়িক ফটো।

পটিয়া পৌরসভা আওয়ামী যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেছেন,স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাস জানি। কিছুটা চর্চাও করি আমরা । কিন্তু স্বাধীনতা হারানোর ঘটনাপ্রবাহ জানি না। যতটুকু জানি সেটুকুও চর্চা করি না। এ প্রতিবদকের সাথে আলাপকালে নজরুল ইসলাম আরোও বলেন,আজ আমরা অর্থনৈতিকভাবে আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা। সাংস্কৃতিক দাসত্ব আমাদের গর্বের একুশের অহঙ্কার মাথানত না করার অহমকে হিন্দির যূপকাষ্ঠে বলি দিচ্ছে। সìিধচুক্তি ও চাওয়া-পাওয়ার মাঝে বìধুত্বের এই বাতাবরণে আমাদের স্বাধীনতা কতটা নিরাপদ থাকছে, অরক্ষিত স্বাধীনতা পরাধীনতার নামান্তর হলে আমাদের সার্বভৌমত্ব কতটা চ্যালেঞ্জ ও শঙ্কামুক্ত হচ্ছে­ স্বাধীন বিবেক বারবার এ প্রশ্ন করছে। উলফা নেতাদের আমরাই তুলে দিচ্ছি। খাল কেটে কুমির আনছি আমরাই। আমরাই দূতাবাসে বাড়তি সুরক্ষার পক্ষে সাফাই গেয়ে চলেছি। টিপাইমুখ বাঁধ নির্মিত হলে সারা বিশ্ব বলছে ক্ষতি হবে­ আমাদের লোকই বলছে লাভ হবে। বলা হচ্ছে, বন্দর দিলে আমাদের লাভ হবে। সাবমেরিন ক্যাবল স্টেশন ভাড়া দিলেও আমাদের লাভ। ট্রানজিট দিলে আমরাই লাভবান হবো। করিডোর দিলেও নাকি আমাদের লাভ। আমাদের কোনো টিভি চ্যানেল ভারতে না চললেও বোম্বাইর সেক্স ব্যবসায়ের জন্য ভারতীয় চ্যানেল চালালেও আমাদের লাভ, ভারতীয় স্বাধীনতাকামীদের ফেরত দিলেও আমাদের বড় লাভ, পানি না পাওয়াও আমাদের লাভ, সীমান্তে মানুষ মরলে তা-ও আমাদের লাভ, অসম বাণিজ্য চোরাচালান সবই আমাদের লাভ, ভারতীয় পণ্যের প্রসারেও আমাদেরই লাভ হচ্ছে। আমাদের নিজেদের স্বার্থের চেয়ে এত লাভের গুড় যদি পিঁপড়ায় খায় আর আমাদের ভাগ্য যদি মুর্শিদাবাদের মতো হয়, তাহলে? জাতীয় স্বার্থের চেয়ে অন্যদের স্বার্থ বড় হচ্ছে, বìধুত্ব সার্বভৌমত্বের সমান গুরুত্ব পাচ্ছে। জাতীয় নিরাপত্তা ও সমর কৌশল গোপন থাকছে না। এসব সìিধ ও চুক্তি করতে আমরাই উঠে পড়ে লেগেছি। ইতিহাসের ষড়যন্ত্র নাটক ও গাদ্দার মীরজাফরদের কথা আমাদের কতটা স্মরণে পড়ে জানি না। তবে আজ চার দিকের অবস্খা দেখে ভাবতে হচ্ছে আমরা দেশপ্রেমিক হিসেবে কতটা পরীক্ষিত। নাকি মীরজাফরের মতো মসনদের মোহ আমাদের বাস্তবতা ভুলিয়ে রাখছে।
মীরজাফর স্বাধীনতা হারাতে চাননি, কিছু স্বার্থের বোঝাপড়ায় ছাড় দিতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। বিবেক বìধক রেখেছিলেন। মীর কাশিমও চেয়েছিলেন স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করতে। তাই শেষ বেলায় বাঁক ঘুরে দাঁড়িয়ে যুদ্ধ করেছেন। স্বাধীনতার অস্তমিত সূর্যের খ্যাতি পেয়েছেন। কিন্তু নিজেও রক্ষা পাননি। রক্ষা পায়নি স্বদেশের স্বাধীনতা। কারণ সময় বয়ে গেলে হায় হায় করেও কিছু করা যায় না। একদিন ভোরে ঘুম থেকে জেগে ফিলিস্তিনিরা দেখল তাদের স্বাধীনতা ছিনতাই হয়ে গেছে। সেই স্বাধীনতা আজও অধরা থেকে গেছে। আমাদের ভাগ্য কী হতে যাচ্ছে­ এ জিজ্ঞাসা আজ সবার প্রতি।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: