কেশবপুরে সাপের কামড়ে কলা মোচার চপ-ফুসকা-চটপটি বিক্রেতার মৃত্যু

অলিয়ার রহমান | প্রকাশিত: ১৩ আগস্ট ২০২৩ ০৬:৫৩

অলিয়ার রহমান
প্রকাশিত: ১৩ আগস্ট ২০২৩ ০৬:৫৩

ছবিঃ নিউজ

অলিয়ার রহমান, কেশবপুর প্রতিনিধিঃ


যশোরের কেশবপুরে সাপের কামড়ে বাবলু সরদার (৩৫) নামে একজন মারা গেছেন। শনিবার দুপুরে উপজেলার কোমরপোল ঋষিপাড়ার মাঠে কলার মোচা কাটতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত বাবলু সরদার উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের কোমরপোল গ্রামের মৃত শাহাদাৎ হোসেনের ছেলে। তিনি স্থানীয় বকুলতলা বাজারে কলার মোচার চপসহ, ফুচকা, চটপটি ও ঝালমুড়ি বিক্রি করতেন।

এলাকাবাসী জানান, উপজেলার কোমরপোল ঋষিপাড়ার মাঠের একটি ঘের পাড়ের কলাগাছ থেকে বাবলু সরদার মোচা কাটছিলেন। এ সময় তার পায়ে একটি বিষাক্ত সাপে কামড় দেয়।  মাঠের পাশের রাস্তায় এসে স্থানীয়দের বিষয়টি বললে তারা তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরিবারের লোকজন সাপের বিষ নামাতে ওঝার কাছে নিয়ে যান। ওঝা দীর্ঘ সময় ঝাঁড়ফুক দিয়ে বিষ নামাতে ব্যর্থ হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। কেশবপুর হাসপাতালে চিকিৎসা না হওয়ায় খুলনা নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক দীপংকর রায় বলেন, আশংকাজনক অবস্থায় ওই রোগীকে হাসপাতালে আনা হয়। সাপে কাটার রোগীর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম না থাকায় তাকে যশোর বা খুলনায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। শুনেছি অন্য হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা গেছেন।

উপজেলা নাগরিক সমাজের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন, ‘শহরের থেকে গ্রাম পর্যায়ের মানুষের সাপে বেশি কামড়ায়। অথচ সাপে কাটার রোগীর চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিভেনম থাকে জেলা হাসপাতালে। উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে যদি অ্যান্টিভেনম রাখা হয়, তাহলে অনেক সাপে কাটা রোগীকে বাঁচানো যেত।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন বর্ষা মৌসুমে গ্রামগঞ্জে সাপের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম রাখার জোর দাবি জানাচ্ছি।’ এছাড়া তিনি সাপে কাটা রোগীকে ওঝার কাছে না নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন।

উল্লেখ্য, গত ২৪ জুলাই সাপের কামড়ে কেশবপুর উপজেলার গৌরীঘোনা গ্রামের কার্তিক চক্রবর্তীর মেয়ে স্কুল ছাত্রী মোহনা চক্রবর্তী মিতু (১২) মারা যায়। রাতে দাদির সঙ্গে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় বিষধর সাপে তাকে দংশন করে।

 




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: