করোনা শুরু থেকে মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন এস এম ইয়াকুব আলী ও ডা. মেহেদী হাসান

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০২০ ০১:২৬

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০২০ ০১:২৬

ছবি সমসাময়িক
  তাজাম্মূল হুসাইন, মণিরামপুর।। জেলার অর্ন্তগত ৮টি উপজেলার মধ্যে মণিরামপুর বাংলাদেশের বৃহত্তম উপজেলার মধ্যে অন্যতম। ১৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এ উপজেলার গ্রামের সংখ্যা রয়েছে ২৪৯টি। জনসংখ্যা সাড়ে ৫ লাখের কাছাকাছি। এর আয়তন ৪৪৪.৭৩ বর্গ কিলোমিটার-যাহা দেশের বিদ্যমান একটি জেলার আয়তনের সমান। এ উপজেলায় বিভিন্ন জাতি, ধর্ম-বর্ণ, শ্রেণী পেশার মানুষের বসবাস। এখানে অধিকাংশ পরিবার হত-দরিদ্র হওয়ায় তাদের দু:খের শেষ নেই। তারপরও ওই পরিবারগুলো ভালই চলছিলো। কিন্তু সম্প্রতি দেশে মহামারী করোনা ভাইরাসের মরণব্যধি রুপ নেই। এ মরণব্যধি রোগ থেকে রা পায়নি মণিরামপুর উপজেলাবাসীও। স্বাস্থ্যকর্মীসহ অনেকে আক্রান্ত হন করোনা ভাইরাসে। বর্তমানে তারা সবাই সুস্থ্য আছেন। করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত থেকে মানুষকে বাঁচানোর জন্য সরকার লকডাউন ঘোষনা করেছিলেন। এতে দু:চিন্তায় পড়েছিলেন মণিরামপুরে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষেরা। যাদের জীবিকার তাগিদে প্রতিদিনই দিন মজুরের কাজ না করলে সংসার চলতো না, তাদের মুখের হাসি অম্লান হতে চলছিল। সেই মুখের হাসি ধরে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিদের্শনা দেন হত-দরিদ্র গৃহবন্দি অসহায় মানুষেরা যাতে খাবারের জন্য কষ্ট না পায় সে জন্য সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। সেই নির্দেশনা মোতাবেক ওই সকল অসহায় মানুষের পাশে থেকে এখনও কাজ করে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ-কিমিটির সাবেক নির্বাহী সদস্য ও যশোর সিটি প্লাজার চেয়ারম্যান এস এম ইয়াকুব আলী। করোনা ভাইরাস শুরু থেকে অসহায় মানুষের মাঝে বিভিন্ন সময় খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন তিনি। বিভিন্ন মাধ্যমে এসকল অসহায় মানুষের সবসময় খোঁজ খবরও নেন। এস এম ইয়াকুব আলী তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান উল্লাহ শরিফীর সমন্বয়ে মণিরামপুর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ২ হাজার ৩’শ ৫১জনকে অনুমান ১২ লক্ষ ৪৫ হাজার ৭’শ ১৮ টাকা ব্যায়ে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের মত মহৎ কাজের জন্য এলাকার হত-দরিদ্র ও বৃদ্ধ অসহায় নর-নারী তার জন্য প্রতিনিয়তই দু’হাত তুলে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে তার জন্য দোয়া করছেন। করোনার ভিতর শীত পড়তে না পড়তে এস এম ইয়াকুব আলী শীতবস্ত্র বিতরণে মহতী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তিনি গত শীতের মৌসুমে মণিরামপুর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। অন্যদিকে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় এখনো পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ও সিটি প্লাজার চেয়ারম্যান এস এম ইয়াকুব আলীর ছোট ভাই ডা. মেহেদী হাসান। তরুণ এই চিকিৎসক লেখাপড়া শেষ করেছেন টার্নোপিল ন্যাশনাল মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ইউক্রেন থেকে। লেখাপড়া শেষ করে দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা সেবা নিয়োজিত। নরম শান্ত সাভাবের তরুণ এই চিকিৎসক করোনাভাইরাসের চিকিৎসা সেবা দিয়েই আজ দেশের একজন জনপ্রিয় ডাক্তার হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছেন। বিশেষ করে করোনা কাল থেকে শুরু করে এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের এডমিন ক্যাডারদের একমাত্র ভরসা ছিলেন ডা. মেহেদী হাসান। এই পর্যন্ত ডা. মেহেদী হাসান টেলি মেডিসিনে ফ্রী চিকিৎসা দিয়েছে পাঁচ হাজার প্লাস করোনা রুগী। এর ভিতর গুরুতরভাবে অসুস্থ রুগী থাকলেও এপর্যন্ত একজন মারা যাওয়ার কথা শুনা যায়নি। করোনায় এমন অবদানের জন্য সম্প্রতি ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে বিশেষ সংবর্ধনা স্বরুপ সার্টিফিকেট ও ক্রেষ্ট প্রদান করেন ডা. মেহেদী হাসানকে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে ইতিমধ্যে তারা দুই ভাই মণিরামপুরবাসীর সুনাম কুঁড়িয়েছেন। মানুষ-মানুষের জন্য, এ কথাটি আবারও প্রমান করলেন তারা।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: