অবশেষে মণিরামপুর  বিবাদমান সেচ পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন ২০০ কৃষকের মুখে হাসি 

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৬:০১

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৬:০১

ছবি সমসাময়িক
  মণিরামপুর(যশোর)সংবাদদাতা।।অবশেষে মণিরামপুরের খেদাপাড়া ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের ২০০ কৃষকের মুখে হাসি ফোটালেন এলজিআরডি  প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এমপি। স্থানীয় কতিপয় স্বার্থেন্বেষী ব্যক্তির বিরোধের কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় একটি সেচ পাম্পের অধীনে  ওই গ্রামের  প্রায় ১৫০ বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এমন খবর পেয়ে শনিবার (২০ ফেব্রæয়ারি)  স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এমপি ঢাকা থেকে সরেজমিন ছুটে আসেন। এ সময় তিনি ১৫০ বিঘা ফসলি জমিতে তাৎণিক সেচের ব্যবস্থা গ্রহন করেন।    তিনি সরেজমিন পরিদর্শনকালে বলেন, জনগন হল আমার মূল শক্তি, জনগনের ভোটে আজ আমি এখানে আসছি।  এসময়  ঘটনাস্থলে আসেন মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ জাকির হাসান, সহকারী কমিশনার( ভূমি) পলাশ দেবনাথ, যশোর পল্লী বিদুৎ সমিতি-২ (মণিরামপুর) এর জিএম অরুণ কুমার কুন্ডু। উল্লেখ্য,ভুয়া অভিযোগের ভিত্তিতে  ইউএনও ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম সঠিক তদন্ত না করে ১৫০ বিঘা জমির বোরো সেচ পাম্মের বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করে দেন।  ফলে গত ৪/৫ দিনে সেচ স্কেমে পানি সেচ বন্ধ থাকার কারণে ফসল নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়। এই ধরনের খবর পেয়ে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য ঢাকা থেকে সরাসরি সরেজমিন পরিদর্শন শেষে তাৎণিকভাবে সেচ সংযোগের  নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি  বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার কৃষকের ধান চাষের জন্য সকল বাঁধা বিপত্তি অতিক্রম করে কি করলে সুষ্ঠুভাবে কৃষক ঘরে ধান তুলতে পারবে সেই ব্যবস্থা  গ্রহণের কথা বলেছেন। প্রতিমন্ত্রী নিজে দাঁড়িয়ে থেকে তাৎণিকভাবে পল্লী বিদুৎ এর সংযোগ দিয়ে অনুমানিক ২০০ কৃষকের মুখে হাসি ফোটান। আগে কৃষক ধান চাষ করবে, তারপর যদি কোন বিরোধ থাকে তবে সেটার নিষ্পত্তি পরে করা হবে।  এরপরও যদি কেউ ধান চাষে বাধা দেয়, তাহলে যিনি বাঁধা দিবেন তার  বিরুদ্ধে  ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি। এসময় উপস্থিত সুফলভোগী কৃষক-কৃষানীরা মন্ত্রীর এহেন পদক্ষেপের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: