মনিরামপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের টয়লেট ও ড্রেনের দূর্গন্ধে এলাকার পরিবেশ দুষিত

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৪:৩৩

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৪:৩৩

ছবি সমসাময়িক
 

স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর(যশোর)॥

যশোরের মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনটি ঘসেমেজে বেশ দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা করা হয়েছে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার চেম্বার এবং নারী ওয়ার্ড। কিন্তু টয়লেটের বর্জ্যের দূর্গন্ধে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঢোকাই এখন দুরুহ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবনের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের জরাজির্ন দুইটিসহ মোট তিনটি টয়লেটের বর্জ্যে ড্রেন ভরাট হয়ে গেছে। একেতো দূর্গন্ধ তার ওপর টয়লেট ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় কর্মকর্তা কর্মচারী এবং রোগিরা চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। অথচ এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ রয়েছে সম্পূর্ন নীরব। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের বরাদ্দকৃত কোটি টাকার উপরে ব্যয়ে সম্প্রতি ৫০ শয্যার মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনটি ঘসেমেজে(মেরামত) দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে। এ ভবনের নিচ তলায় একই মন্ত্রনালয়ের অধিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পৃথক দুইটি কার্যালয় রয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা:শুভ্রা রানী দেবনাথ। পরিবার পরিকল্পনার দায়িত্বে রয়েছেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুস সাত্তার এবং মেডিকেল অফিসার(এমসিএইচ-এফপি) ডা: চন্দ্র শেখর কুন্ডু। তবে একই মন্ত্রনালয়ের অধিনে দুইটি অধিদপ্তর থাকলেও পুরো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির দায়িত্বে রয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পবিার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শুভ্রা রানী দেবনাথ। চলতি অর্থ বছরে প্রায় কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে ঘসেমেজে(মেরামত) বেশ দৃষ্টি নন্দন করা হয়েছে পুরো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার চেম্বার এবং দ্বিতীয় তলায় মহিলা ওয়ার্ডে শীতাতপ নিয়ন্ত্রনের(এসি) ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত পরিবার পরিকল্পনা অফিসের দুইটি এবং উপরে মহিলা ওয়ার্ডের একটি টয়লেট মেরামতের অভাবে বর্তমান ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। উপরে মহিলা ওয়ার্ডের টয়লেটটি দীর্ঘদিন মেরামত না করায় ছাদ এবং পাইপ নষ্ট হয়ে ময়লা বর্জ্য মিশ্রিত পানি নিচে পরিবার পরিকল্পনার টয়লেটের ভেতর পড়ছে। মহিলা ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স বন্ধনা নন্দী জানান, রোগিদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে একটি টয়লেট ইতিমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে। অপরদিকে পরিবার পরিকল্পনার কর্মকর্তা-কার্মচারীসহ মহিলা রোগীরা বর্তমান টয়লেট ব্যবহার করতে পারছেননা। তার ওপর টয়লেটের বর্জ্য এসে পড়ে পরিবার পরিকল্পনার সামনে ড্রেনটি ভরাট হয়ে পড়েছে। ফলে দূর্গন্ধে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকে প্রবেশ করলেই ড্রেনের দূর্গন্ধে মুখে কাপড় দিতে হয়। অথচ এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কোন পদক্ষেপ লক্ষ্যকরা যায়নি। পরিবার পরিকল্পনার প্রধান অফিস সহকারি সোহরাব হোসেন জানান, দুইটি টয়লেটের মধ্যে একটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অপরটির অবস্থাও ভাল নয়। পরিবার কল্যান পরিদর্শিকা লায়লা আনজুমান বানু জানান, উপরের টয়লেটের ময়লাবর্জ্যে নিচের টয়লেটটিতে এবং সামনের ড্রেন ভরাট থাকায় দূর্গন্ধে অফিসে থাকা দুরুহ হয়ে পড়েছে। একই কথা জানান, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী সুচন্দা ও রওশনারা বেগম। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুস সাত্তার জানান, বিষয়টি ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য প্রোকৌশলীকে অবহিত করা হয়েছে। মেডিকেল অফিসার(এমসিএইচ-এফপি)ডা: চন্দ্র শেখর কুন্ডু ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, টয়লেটের সমস্যা নিয় দীর্ঘদিন ধরে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শুভ্রা রানী দেবনাথ জানান, ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য প্রোকৌশলীর সাথে কথা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে দ্রুত সমাধান হবে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: