সংসদে ৫০ আসন ও চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ এর দাবীতে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ রাজপথে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৮ জানুয়ারী ২০২২ ০১:৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৮ জানুয়ারী ২০২২ ০১:৩২

ছবি সমসাময়িক
বিশেষ প্রতিনিধি।। ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল করে আলাদা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করাসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এক অবস্থান কর্মসূচিতে এসব দাবি জানায় ‘বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ’। তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো- বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সুরক্ষা আইন পাস করা ও মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রেণি ও মর্যাদা নির্ধারণ করাসহ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের সম্পত্তি বিক্রি না করে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনে সকল মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের অন্তত একজন সদস্যকে ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষমতা প্রদান করাসহ জীবিত অথবা মৃত মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সমান সুযোগ-সুবিধা দেওয়া। মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের জন্য জাতীয় সংসদে কমপক্ষে ৫০টি সংরক্ষিত আসন সৃষ্টি করাসহ জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন পরিষদে দুইজন করে বীর মুক্তিযোদ্ধা বা তাদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত সদস্য পদ সৃষ্টি করা, সকল প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং কমিটি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কমিটিতে দু’জন মুক্তিযোদ্ধা বা তাদের সন্তানদেরকে বাধ্যতামূলক সদস্য করা এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর হামলা, নির্যাতন ও তাদের জমি দখলের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়াসহ মেডিকেল কলেজ, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ছাত্রদের ভর্তি ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনিদের জন্য ১০ শতাংশ আসন দেওয়া। সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ডের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. সোলায়মান মিয়ার সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব মো. শফিকুল ইসলাম বাবুর সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে সংগঠনটির ভাইস চেয়ারম্যান টিপু সুলতান, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব আবু সুফিয়ান ভুঁইয়া ফারুখ, যুগ্ম মহাসচিব কাজী টিটো, সাংগঠনিক সম্পাদক শাফি সমুদ্র, সমাচসেবা সম্পাদক সেলিম রাজা, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হাসনাত শাহীনসহ বিভিন্ন জেলা, মহানগর, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন, রেলওয়ে, সিভিল এভিয়েশন ইউনিটসহ এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, আমাদের পিতাদের রক্তে এই দেশের মাটি রঞ্জিত হয়েছে। এদেশের স্বাধীনতা আনতে তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন, জীবন দিয়েছেন। কিন্তু বিএনপি-জামাতের আমলে রাজাকাররা মন্ত্রী হয়েছেন, গাড়িতে এদেশের পতাকা লাগিয়ে ঘুরেছেন। সেটি আমাদের অত্যন্ত মর্মাহত করেছিল। পরবর্তীতে যখন আওয়ামী লীগ সরকার এদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসে, তখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য কোটার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু পরবর্তীতে তথাকথিত কিছু ছাত্র যারা এই কোটার বিরোধিতা করেছে, তাদের কারণে আমাদের এই কোটা বন্ধ করা হয়েছে। তারা বলেন, এসব তথাকথিত ছাত্রনেতারা কখনও ছাত্রদের অন্যান্য কোনো দাবির কথা বলেনি, শুধু আমাদের এই মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরোধিতা করেছে। আমরা চাই আমাদের এই কোটা মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল করে আলাদা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করাসহ আমাদের অন্যান্য দাবি মেনে নেওয়া হোক। কর্মসূচি থেকে আগামী ১ মার্চের মধ্যে তাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে সারাদেশে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। অবস্থান কর্মসূচি শেষে তারা মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশে একটি পদযাত্রা বের করেন। সেখানে গিয়ে তারা মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: