স্বাধীনতার ৫০ বছরেও গেজেটভুক্ত হতে পারেননি মুক্তিযোদ্ধা কাজী ইকরামউদ্দৌলা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৩:১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৩:১৮

ছবি সমসাময়িক

পটিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে সেলিম চৌধুরী।।

স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও মুক্তিযোদ্ধার গেজেটভুক্ত হতে পারেননি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী ইকরামউদ্দৌলা। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভুক্ত হতে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ালেও এখনো তালিকাভুক্ত না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন তিনি।জানা গেছে, বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী ইকরামউদ্দৌলা মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সেক্টর নং-১ এর এফএফ বিডি এফ গ্রুপ নং-১৪২ এর গ্রুপ কমান্ডার। ভারত হরিণা ক্যাম্প এর সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল রফিকুল ইসলাম বিইউপিএসসি ও মেজর এনামুল হক চৌধুরী, ডা. বি এম ফয়েজুর রহমান ও মির্জা আবু মনসুর তাকে এ দায়িত্ব দেন।স্বাধীনতার পর স্টাফ এ্যাডযুট্যান্ট ক্যাপ্টেন এনামুল হক চৌধুরীর এই মর্মে একটি সনদ প্রদান করেন। বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী ইকরামউদ্দৌলা চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানায় মরহুম ক্যাপাটেন করিম, কোম্পানি কমান্ডার আবুল বশর, প্লাটুন কমান্ডার লতিফ,মরহুম এম পি ডা.আবদুল মান্নান ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বোয়ালখালীর এমপি মোসলেম উদ্দিন আহমদের সাথে কাজ করেছেন।২০১৭ সালে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইয়ে পটিয়া উপজেলার তালিকায় তাহার নাম "ক" তালিকায় রয়েছে, দীর্ঘ দিন নিরব থাকার পরে পুনরায় ২০২১ সালে যাচাই বাছাই হলে তার নাম ‘ক’ তালিকায় রয়েছে। স্বাধীনতার পরে অস্ত্র জমা দেয়ার পরে রক্ষী বাহিনীর ধর পাকরের সময় তার কাছে আর কোন অস্ত্র নাই মর্মে লে. কর্নেল নুরুল ইসলাম লস্কর, ডি এফ আই চট্টগ্রাম সনদ প্রদান করেন। ১৯৮৪ সালে মরহুম যুদ্ধকালীন কমান্ডার মহসিন খান ইকরামদ্দৌলা একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে একটি সনদ প্রদান করেন।বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী ইকরামউদ্দৌলা চট্টগ্রামের পটিয়া সদরের বাহুলী এলাকার মৃত কুতুব উদ্দৌলার ছেলে। ১৯৫১ সালের ১৪ জুলাই জন্ম। স্বৈরচার এরশাদবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন ‍এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম সদর দক্ষিণ ইউনিট কমান্ডারের জোরালো প্রতিবাদে ১৯৮৪ সালের ২১ আগস্ট তাকে মুক্তি দেয়া হয়।এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান চৌধুরী প্রকাশ চৌধুরী মাহবুব বলেন, ইকরামউদ্দৌলা একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা এতে কোনো সন্দহ নেই। তার কাছে যে পরিমাণ তৎকালীন কাগজপত্র রয়েছে, সেগুলো থাকার পরও কেন কী কারণে গেজেটভুক্ত হননি জানি না। দ্রুত তাকে গেজেটভুক্ত করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে অর্ন্তভুক্ত করার দাবি জানান তিনি।বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী ইকরামউদ্দৌলা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি তারা অনেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এমনকি অনেক রাজাকারও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সরকার থেকে ভাতাসহ বিভিন্ন সুবিধা নিচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আমার মতো ব্যক্তি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভুক্ত হতে না পারার দোষ আমার নাকি রাষ্ট্রের তা বুঝতে পারছি না। তিনি মুক্তিযুদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করছেন।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: