কেশবপুরের প্রথম পতাকা উত্তোলনকারীর বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ মারাত্মক অসুস্থ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ ১৮:৫৫

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ ১৮:৫৫

ছবি সমসাময়িক
  কেশবপুর প্রতিনিধি।। কেশবপুর হানাদারমুক্ত হয়েছিল যাদের সম্মুখযুদ্ধে, যিনি প্রথম থানা ভবনে পতাকা উত্তোলন করে কেশবপুরকে হানাদারমুক্ত ঘোষণা করেছিলেন সেই বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ গাজী বার্ধক্যজনিত কারণে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে বর্তমান উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের বাড়িতে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। বিজয়ের এই মাসে তার খবর কেউ রাখেন না। ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ গাজী, চিন্ময় চ্যাটার্জি, এরফান ঢালী, আব্দুল ফকিরসহ মুক্তিযোদ্ধারা রাইফেলের নলে লাল-সবুজের পতাকা বেঁধে মিছিল সহকারে কেশবপুরে ফিরে আসেন। মুক্তিযোদ্ধাদের আগমনের খবর পেয়ে ভোরে কেশবপুর শহরের বালিকা বিদ্যালয়ে অবস্থানরত রাজাকার ও পাকিস্তান সেনাবাহিনী ক্যাম্প ছেড়ে কেশবপুর সার্বজনীন কালীমন্দিরের পাশের ঝোপে অস্ত্র ফেলে পাঁজিয়া, সুফলাকাটি হয়ে খুলনার দিকে পালিয়ে যায়। এ সময় রাজাকার ও পাকিস্তানি বাহিনীর সদস্যরা কানাইডাঙ্গার শেখ লুৎফর রহমান, সুফলাকাটির গৃজানাথ চৌধুরী, তার ছেলে মুক্তি শঙ্কর চৌধুরীসহ কয়েকজন মুক্তিকামী জনগণকে হত্যা করে। এই দিন মুক্তিযোদ্ধারা জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে কেশবপুর থানায় প্রবেশ করেন। থানার পতাকা স্ট্যান্ড থেকে প্রথমে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ গাজী পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে পুড়িয়ে ফেলে ওই পতাকা স্ট্যান্ডে বাংলাদেশের ম্যাপসমৃদ্ধ লাল-সবুজের পতাকা প্রথম উত্তোলন করে কেশবপুর হানাদারমুক্ত ঘোষণা করেন। এ দিন কেশবপুরের প্রবেশপথে ভোগতি নরেন্দ্রপুর কালাবাসা মোড়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অভ্যর্থনা জানান আওয়ামী লীগ নেতা ডাক্তার রওশন আলী, ডাক্তার গোলাম রব্বানি, আনোয়ার হোসেন বিশ্বাস প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ। তার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, বার্ধক্যজনিত কারণে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে তিনি বাড়িতে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। তিনি দীর্ঘ এক মাস ধরে বাড়িতে বিছানায় পড়ে থাকলেও কেউ তার খবর নেয়নি। উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান আওয়ামী লীগ নেতা মশিয়ার রহমান বলেন, কেশবপুরের প্রথম স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করেছিলেন তার গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ। তার ত্যাগ ও দেশপ্রেমের কথা জাতি কখনও শোধ করতে পারবে না। তিনি এখন অসুস্থ। কেউ তার খোঁজ নিতে আসেন না।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: