বহিস্কৃত নেতা সহ মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটির অনুমোদন

মণিরামপুর প্রতিনিধি।। | প্রকাশিত: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২১:৪০

মণিরামপুর প্রতিনিধি।।
প্রকাশিত: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২১:৪০

ফাইল ফটো।

যশোরের পাঁচ উপজেলা ও পৌর শাখা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির বিষয়ে দীর্ঘদিন পর সিদ্ধান্তে আসতে পেরেছেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। গত বুধবার রাতে যশোর সার্কিট হাউজে বৈঠক থেকে অভয়নগর, মণিরামপুর ও যশোর পৌর শাখার কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন। যদিও এসব ইউনিটের মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। সংশ্লিষ্ট শাখার সভাপতি-সম্পাদকের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই কমিটিগুলো অনুমোদন দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপি। মণিরামপুর উপজেলার পূর্ণাঙ্গ অনুমোদন পাওয়া কমিটিতে বিগত ৫ মাস আগে বাতিল হওয়া দুটি পক্ষের পকেট কমিটির অধিকাংশই নেতাই বহাল রয়েছেন ২১ বার কাটাছেঁড়ার মধ্যে। একাধিক কাটাছেঁড়া তিন পাতার কমিটির তালিকাগুলো রাতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে একদিকে যেমন কমিটিতে স্থান না পাওয়াদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে; অন্যদিকে উচ্ছ্বাসিত হয়েছেন দলে পদ পাওয়া নেতারা। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা সমালোচনা করতেও দেখা গেছে।

২০১৮ সালের ১০ মার্চ কাজী মাহমুদুল হাসানকে সভাপতি ও প্রভাষক ফারুক হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে চার সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। দীর্ঘদিন কমিটি পূর্ণাঙ্গ না হওয়ার গত ৩১ জুলাই যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের একক স্বাক্ষরে উপজেলা কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে জেলা সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের স্বাক্ষর ছিল না। এ নিয়ে তখন ব্যাপক বিতর্ক হয়েছিল। বিতর্ক থামাতে দুইদিন পর (গত বছরের ২ আগস্ট) কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) বিএম মোজাম্মেল হক যশোর জেলা নেতৃবৃন্দকে ঢাকায় ডেকে বৈঠকে বসেন। সেখানে পূর্ণাঙ্গের নামে যে তালিকা প্রকাশ করা হয় তা বাতিল করা হয়। একই সাথে শোকের মাস আগস্ট শেষে দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন বিএম মোজাম্মেল। এরই অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয় জেলা আওয়ামী লীগ। গত বুধবার রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহমুদুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে কমিটিগুলো পূর্ণাঙ্গ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন জেলা আওয়ামী লীগ। এদিকে কেন্দ্রীয় অনুমোদন পাওয়া কমিটির ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সহ সভাপতি আমজাদ হোসেন লাভলু কে সহ-সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে আট নং সদস্য এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত নেতা আ: হাই কে ১৮ নং সদস্য করা হয়েছে। তবে তিন পাতার এই কমিটিতে একাধিক নামের তালিকা কাটাছেঁড়া মাধ্যমে বহিস্কৃত নেতা সহ অনেক নতুন মুখ কমিটিতে স্থান পেলেও স্থান দেওয়া হয়নি সময়ের আলোচিত ও বহুল জনপ্রিয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয় উপকমিটির সদস্য এস এম ইয়াকুব আলী'কে।

আ.হাই সম্পর্কে (আরটিভি নিউজ সূত্রে) যতটুকু জানাযায় গত ২৫ মার্চ ২০২২ইং গণহত্যা দিবসে মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় খালেদা জিয়াকে উন্নয়নের কারিগর বলেছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহব্বায়ক আবদুল হাই। সেই বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে অবশেষে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। উপজেলা আাওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান চালুয়াহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহব্বায়ক আবদুল হাইকে সাময়িক বহিষ্কার করে ২৯ মার্চ রাতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিলেন।

মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ৮০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে কাজী মাহমুদুল হাসানকে সভাপতি ও প্রভাষক ফারুক হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। আর মশিয়ার রহমান, আবুল কালাম আজাদ, আতিয়ার রহমান, হাসেম আলী, উত্তম মিত্র, মিকাইল হোসেন, গৌর কুমার ঘোষসহ ৯জনকে সহ সভাপতি করা হয়েছে। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন শামছুর হক মন্টু, অ্যাডভোকেট বশির আহমেদ খান, বাবুল আক্তার বাবলু, আইন বিষয়ক সম্পাদক সুব্রত ব্যানার্জী, সাংগঠনিক সম্পাদক সন্দীপ ঘোষ সহ তিন জন এবং শ্রম সম্পাদক করা হয়েছে আদম আলী'কে।

নাম না প্রকাশে বৈঠকে উপস্থিত আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদক এর সাথে কথা বলে একাধিক কাটাছেঁড়ার মাধ্যমে কমিটির সমজতা করেই একটি ফ্রেশ সীট কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: