বঙ্গবন্ধুর সফরসঙ্গী বীর মুক্তিযোদ্ধা অফেল উদ্দীন বিশ্বাস মনিরামপুর আ.লীগের এক ইতিহাস

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১২:২৮

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১২:২৮

ছবি সমসাময়িক
 

মোঃ শাহ্ জালাল।।

মরহুম অফেল উদ্দীন বিশ্বাস ১৯৯৬ সালে মৃত্যুবরন করেছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা কালীন বলতে বঙ্গবন্ধুর আমল থেকে শুরু করে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অত্যন্ত দক্ষতার সাথে যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার ১ নং রোহিতা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে গেছেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন রাজাকারদের যৃর্ণ মানুষিকতার শিকারে পড়ে তার পরিবারের অনেক সদস্য এবং পরিবারের অনেক মুল্যবান ক্ষতি সাধন করতে হয়েছে তাঁকে । এমনকি যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাদেরনকে অফেল উদ্দীন বিশ্বাসের খোঁজ খবর না দেওয়ায় তাঁর পিতাকে প্রচুর পরিমানে মারপিট করে যার পরবর্তীতে অসুস্থ হয়ে মারা যান অফেল উদ্দীন বিশ্বাসের বাবা। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ১৯৭৩ সালের ১৫ ই আগস্ট যশোর টাউন হল ময়দানে সকাল ১০ ঘটিকায় যশোর জেলার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে হয়। সেই কাউন্সিলে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক ও জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর সেই কাউন্সিল অধিবেশনে মরহুম অফেল উদ্দীন বিশ্বাস ১৪১ নং কাউন্সিলর নিযুক্ত হয়েছিলেন। কাউন্সিল অধিবেশন শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সাথে "অফেল উদ্দীন বিশ্বাস" এবং অন্য অন্য নেতারা বাই সাইকেলে করে মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ বাজার আসেন। অথচ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হওয়া সত্তেও স্বাধীনতার পরে মুক্তিযোদ্ধার কাড নেননি এই বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম অফেল উদ্দীন বিশ্বাস। এমন কি তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কোন প্রকার সরকারী সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করেননি বলে জানান তার পরিবারের সদস্যরা। আ.লীগের একজন সেবক হয়ে সব সময় দলের জন্য কাজ করে গেছেন। আজ হয়তো মরহুম অফেল উদ্দীন বিশ্বাসের মতো নেতারাই আ.লীগের ইতিহাস।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: